দুইটি সাধারণ ডায়েরির তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সন্ধান পায়।
Published : 02 Mar 2024, 08:18 AM
মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মিয়ানমারে জিম্মি রাখা সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
উদ্ধাররা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান কবির (১৬), একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (১৮), চকরিয়া উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২৮), মহেশখালী উপজেলার সোনা মিয়ার ছেলে শওকত আজিজ (১৮), তার ভাই সফর আলী (১৭), উখিয়া উপজেলার মো. ইউনুসের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২১) এবং সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৬)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- টেকনাফ উপজেলার মো. বেলাল উদ্দিন (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের মাহফুজা বেগম (২২), একই ইউনিয়নের মো. আব্দুল্লাহ (৫৫) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং জেলার মো. আয়াছ (২৬)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরির তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সন্ধান পায়।
“তারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গার কিশোর-যুবকদের মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে সাগর পথে মিয়ানমারে নিয়ে গিয়ে জিম্মি এবং নির্যাতন চালিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।”
তিনি আরও বলেন, “পাচারকারীদের বিভিন্ন অঙ্কের টাকাও প্রদান করেন তাদের স্বজনেরা। এই টাকা গ্রহণকারী লোকজন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
রোববার রাতে গ্রেপ্তারদের কৌশলে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকায় সাতজনকে ফেরত আনা হয়।
এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]