সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথের পাশে পাঁচটি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।
Published : 09 Jul 2024, 01:01 AM
নরসিংদীর রায়পুরায় রেললাইন থেকে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধারের পরে সারাদিনেও কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
নিহতরা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছেন, না কী রেললাইনে বসা অবস্থায় কাটা পড়েছেন তা নিয়ে কাটেনি ধোঁয়াশা। অন্যদিকে, স্থানীয়দের প্রশ্ন এটি নিছক ট্রেনে কাটা নাকি কোনো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর ট্রেনের নিচে ফেলা হয়েছে এই তরুণ-যুবকদের?
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আসল ঘটনা স্পষ্ট নয় এখনও৷ কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। তবে, মরদেহগুলো ট্রেনে কাটা প্রাথমিকভাবে এটা নিশ্চিত।
“কিন্তু এর আগে কোনো কিছু ঘটেছে কি না সেটি তদন্ত শেষে বলা যাবে। পিবিআইও এটা নিয়ে কাজ করছে।”
সোমবার সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের৷
এদিকে ঘটনার ১২ ঘণ্টা পরও মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মোবাইলে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের ওসি মো. আলীম বলেন, নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথের নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার খাকচক ও কমলপুর গ্রামের মধ্যবর্তী রেললাইনের পাশে পাঁচটি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহতরা সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেলওয়ে পুলিশসহ জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই।
দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের ওসি মো. আলীম এবং পিবিআই এর সদস্যরা।
ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন তখন বলেছিলেন, “দেখে মনে হয়েছে তারা প্রান্তিক পর্যায়ের খেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয়রা কেউ তাদের চিনতে পারছে না।”
এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করেছে রেলওয়ে ভৈরব থানা পুলিশ।