সকালে যৌথ বাহিনী আটকদের সদর থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানান ওসি।
Published : 09 Apr 2025, 04:11 PM
মাগুরা শহর থেকে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় বিএনপি নেতাসহ নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার সকালে যৌথ বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ আটকদের সদর থানা হস্তান্তর করেছে বলে জানান মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহরের পারলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকদের মধ্যে ফরিদ হাসান খান মাগুরা জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য এবং ওই এলাকার প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের ছেলে।
বাকিরা হলেন- মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান এবং ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে একটি চাইনিজ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি ওয়ান শুটার গান, চারটি ওয়ান শুটার গানের অ্যামুনেশন, এয়ার গানের ২৬৪টি অ্যামুনেশন, ২২ অ্যামুনেশন সাতটি, পিস্তল অ্যামুনেশন একটি, চাইনিজ কুড়াল দুটি, চাপাতি ছয়টি, মদ দুই বোতল এবং দেড় লাখ টাকাসহ ১১টি মোবাইল ফোন রয়েছে।
ওসি আইয়ুব আলী বলেন, রাতে গোপন খবরে যৌথ বাহিনী জানতে পারে, ফরিদ খান বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরের পারলা এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে সেখানে অভিযান চালায় বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, দেশি মদসহ ফরিদ খান ও তার সহযোগীদের আটক করে যৌথ বাহিনী।
সকালে যৌথ বাহিনী আটকদের সদর থানায় হস্তান্তর করেছে; তাদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
ফরিদ খানের ভাই পিকুল খান মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এ বিষয়ে পিকুল খান বলেন, “ঘটনাটি যড়যন্ত্রমূলক। প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে এ কাজ করেছে। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে সেটা আমাদের ব্যবসায়িক ফার্ম।”