সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তির প্রভাব দেখা যেতে পারে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাওয়া সিটি ভোটে।
Published : 28 Jan 2024, 08:18 AM
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই ময়মনসিংহ নগরীতে নতুন করে ভোটের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে; নগরভবনের হাল ধরার লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার সবুজ সংকেত পেতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
দেশের সবশেষ গঠিত এ বিভাগীয় নগরীর দ্বিতীয় সিটি ভোটে তাদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও এলাকায় এলাকায় নিজেদের সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজে নেমে পড়েছেন।
আওয়ামী লীগ যদিও এবার সিটি করপোরেশনের ভোটে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন থেকেই দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক দেবে না ক্ষমতাসীন দলটি।
স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে ‘বিভেদ এড়াতে এবং ভোটকে উৎসবমুখর করতে’ দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার আভাস দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে আগের মতই মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাওয়া এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যাচ্ছেন বলে ধারণা মিলছে।
মেয়র পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক অনেকে সরাসরি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর ‘আনুকল্য’ প্রত্যাশা করছেন।
বিএনপি নেতারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের এ ভোটে না আসার কথা বললেও জাতীয় পার্টির নেতারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন।
তবে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চায়ের টেবিলে আলোচনা হলেও নগরীতে এখনও ভোটের হাওয়া তেমন করে লাগেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির বর্জনের ৭ জানুয়ারির ভোটে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোট করা আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়াকারের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকারে এসে ভোট জমিয়ে তোলার কৌশল হিসেবে দলের প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
সাধারণ ভোটারদের অভিমত, যদি এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঘোষণা অনুযায়ী কাউকে দলীয় মনোনয়ন না দেয় তাহলে ময়মনসিংহে ভোট জমে উঠতে পারে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো ‘ভোটের খরা’ হয়ত এই স্থানীয় নির্বাচনে না-ও দেখা যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে। পরদিন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ সিটিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।
১১৩ বছরের পুরনো ময়মনসিংহ পৌরসভাকে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সিটি করপোরেশন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ২০১৯ সালের ৫ মে প্রথম সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ হয়।
এ ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন পৌরসভার সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তখন কেবল সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ভোট হয়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার নয়জন। প্রথমবারের সিটি ভোটে কেন্দ্র ছিল ১২৭টি।
জাতীয় ভোটের প্রভাব থাকবে সিটিতেও?
বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে খুব অল্প বয়সে রাজনীতিতে পা রাখেন। তিনি একাধিকবার কাউন্সিলর হন। পরে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র পদেও নির্বাচিত হন।
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র টিটুর বড় ভাই আমিনুল হক শামীম দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে নৌকার প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্তর কাছে পরাজিত হন।
প্রথমে শান্ত যখন নৌকার মনোনয়ন পান তখন মেয়র টিটু তাকে সমর্থন দেন। পরে বড় ভাই আমিনুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তিনি তার পক্ষে অবস্থান নেন। মহানগর আওয়ামী লীগের মেয়রের অনেক অনুসারীও তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট করেন। সেই নির্বাচনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
তখন নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শান্ত বার বার মেয়র টিটুকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কারও জয়ই সহজ হবে না।
আওয়ামী লীগে সেই বিভক্তির মধ্যেই ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট হতে যাচ্ছে। এতে কিছুটা চাপে পড়েছেন বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
তিনি ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু ও নগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব প্রার্থী হতে প্রচারে নেমেছেন। রাজীব ময়মনসিংহ পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে।
ভোট করার বিষয়ে বর্তমান মেয়র টিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে আমার একটা অবস্থান রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করে চলেছি। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবের কারণে লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয়নি।”
দলীয় বিভেদের বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন ও সিটি নির্বাচন দুটি ভিন্ন মাত্রার। এক্ষেত্রে সংসদ নির্বাচনের প্রভাব খুব একটা পড়বে না। তবে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের প্রতি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান থাকবে।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার একটি অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলমকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। পরে তিনি নৌকার প্রার্থী শান্ত এর পক্ষে মাঠে নামেন।
এহতেশামূল আলম প্রার্থী হওয়ার কারণ হিসেবে ‘অপরিকল্পিত নগরীকে গোছাতে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের’ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “আমি মাঠে নামার পর সংসদ নির্বাচনে নৌকার জোয়ার উঠে। আর সেই জোয়ারে নৌকার মাঝি হয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত।
“মানুষ উন্নয়ন চায়, সেটি ময়মনসিংহ নগরীতে হয়নি। সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়লেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। এখানকার যানজট ও জলাবদ্ধতার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি অন্য কোনো শহরে আছে কি না আমার জানা নেই।”
দলীয় বিভেদের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল বলেন, “তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব স্থানীয় নির্বাচনে খুব বেশি পড়বে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তন চাচ্ছে।”
সংসদ নির্বাচন থেকেই ময়মনসিংহের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের অবস্থান প্রকাশ্যে এসেছে এবং সেটার প্রভাব সিটি নির্বাচনে ‘অবশ্যই পড়বে’ বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু।
তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই আমি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পুরোটাই পাব। সংসদ নির্বাচনে ভাইয়ের পক্ষে মেয়র টিটুর অবস্থান থাকা সত্ত্বেও সিটির ভেতরে তারা বেশির ভাগ কেন্দ্রে ফেল করেছে।
“কারণ মানুষ স্থানীয় লোককে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত; কিন্তু কিছু পাইনি। এবার নগরবাসী অপরিচ্ছন্ন, নোংরা, ধুলাবালি ও অপরিকল্পিত নগরী থেকে মুক্তি পেতে আমাকেই বেছে নেবেন”, বলেন টজু।
‘বাবা মাহমুদ আল নূর তারেকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষেই প্রার্থী হয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব। বলেন, “আশা করছি, সাধারণ মানুষ আমাকেই বেছে নেবেন।”
সংসদ নির্বাচনে যেহেতু নৌকার পক্ষে ছিলেন সেহেতু স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন তার পক্ষেই থাকবে বলে মনে করছেন নগর আওয়ামী লীগের এই সদস্য।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, “সদর আসনে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহিত প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে আমার অবস্থান ছিল। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
“সেই থেকে সর্বত্রই কিছুটা বিভেদ লক্ষ্য করা গেছে। সেই বিভেদ নিরসনের জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনাও আসছে। আশা করছি, আসন্ন সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই তা নিরসন হবে।”
ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কে কে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন এখনি নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে যারা বিগত সময়ে নৌকার সঙ্গে থেকে অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করেছেন আমার সমর্থন তাদের পক্ষে থাকবে। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে এবার কোনো প্রতীক না থাকায় ব্যাপক সাড়া পড়বে বলে আশা করি।”
সিটির ভোটে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়বে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু মেয়রের বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন সেহেতু আওয়ামী লীগের অনেকে ট্রাকের পক্ষে ছিলেন। সিটি করপোরেশনের অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীও তাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে যারা আওয়ামী লীগ করে তারা কিছুটা মনক্ষুণ্নু। তাই সিটি নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।”
তবে নিজের অবস্থান ‘স্পষ্টতই’ থাকবে নৌকার ত্যাগী নেতাদের পক্ষে বলে জানান এই সংসদ সদস্য।
কী বলছেন বিএনপি ও জাপা নেতা
সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান বলেন, “নির্বাচন বর্জনের আন্দোলনের পাশাপাশি মাঠে আমার একটা অবস্থান রয়েছে। যদি কেন্দ্র থেকে নির্বাচন করার নির্দেশনা আসে তাহলে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এর আগেও দুটি নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করেও ছাড় দিয়েছি।
“এ ছাড়া প্রত্যেকটি ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপিমনা কাউন্সিলররা হয়ত কিছুটা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।”
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো পদ-পদবি নেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি এর।
এবার নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গতবার নির্বাচন করে জিতেছি। সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করেছি। এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তবে বিএনপি নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে নির্বাচন করা না করা নিয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি বলেও জানান কাউন্সিলর হবি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু মো. মূসা সরকার বলেন, তারা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।