নিহতের পরিবারের অভিযোগ, একটি পরিবহনের স্টাফরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর অটোচালকের হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
Published : 04 Mar 2025, 02:48 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার প্রতিবাদে ও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা।
প্রায় চার ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় চালক ও স্থানীয়রা এই অবরোধ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
প্রায় চার ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ থাকার পরে বেলা ১২টার আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সমন্বয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দেন।
তাৎক্ষণিকভাবে মামলাসহ আসামি গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়ায় তারা অবরোধ তুলে নেন অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা।
নিহত অটোরিকশা চালক মো. লিটন মিয়া (৩৫) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাধখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী শরমিন বেগম বলেন, “সোমবার বিকালে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর বাগবিতণ্ডা হয়।
“এরপর তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা আমার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এর দুইঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।”
নিহতের ছোটভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, “ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করলো অথচ মামলা করার পরামর্শ দেয় সড়ক দুর্ঘটনার।
“রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে।”
বিক্ষোভ করা অটোরিকশা চালক মহসিন বলেন, “তাকওয়া পরিবহনের বাসের স্টাফরা করতে পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই। তারা আমাদের একজন চালককে তুলে নিয়ে খুন করলো অথচ মামলা নিচ্ছে না।”
তবে শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “এর মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”
তাকওয়া পরিবহনের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল বলেন, পুরো ঘটনাটি এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়, আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। তবে পুলিশ আমাদের একজন চালককে গ্রেপ্তার করেছে।