ছয় দিন আগে ট্রাক চালককে জিম্মি করে প্রায় দেড় টন চিনি লুটের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
Published : 14 Jun 2024, 10:48 PM
ট্রাক চালককে জিম্মি করে প্রায় দেড় টন চিনি লুটের অভিযোগে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটি বিলুপ্ত করেছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।
শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা, বিয়ানীবাজার পৌর শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
৮ জুন সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাই এলাকা থেকে ট্রাক চালককে জিম্মি করে প্রায় দেড় টন চিনি লুটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই চিনির মালিক বদরুল ইসলাম বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং ৮০ বস্তা চিনি ও একটি পিকআপ জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোরগঞ্জের মিঠামাইন উপজেলার হোসাইনপুর গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৬) এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর বোবারতল গ্রামের মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে হাসান (২১)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানার ওসি দেবদুলাল বলেন, “চিনি ছিনতাইয়ের মামলার অন্য আসামি ও বাকি চিনি উদ্ধারে অভিযান চলছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্য বাহিনীও অভিযান চালাচ্ছে।”
চিনি ছিনতাই মামলার আসামিরা হলেন- বিয়ানীবাজারের ছোটদেশ ছুটিয়াংয়ের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ, খাসাড়িপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহমদ, শ্রীধরার মুজিবুর রহমানের ছেলে বক্কর, একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আনু ও আজির উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী ছাদিক আহমদ, বিয়ানীবাজার পৌর শহরের দাসগ্রাম লিচুটিলা ছাত্তার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. খলিল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর এলাকার বোবারতল গ্রামের হাসান, নবাং গ্রামের শরফ উদ্দিনের ছেলে জিবান, বিয়ানীবাজারের সুপাতলার নছরুল্লাহর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শফিউল্লাহ সাগর, খাসাড়িপাড়া গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে ফাহাদ আহমদ, চারখাই জালাল নগরের হেলাল মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়েছে; যারা ছাত্রলীগের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: