শরণার্থী বেশে নওগাঁর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতীকী এ পদযাত্রা অংশ নেন।
Published : 20 Apr 2024, 07:16 PM
নওগাঁয় প্রথমবারের মত রোড টু বালুরঘাট পদযাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরা হল মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের দুর্ভোগ-দুর্দশা ও ক্লান্তির চিত্র।
নওগাঁর সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ শনিবার এ পদযাত্রার আয়োজন করে।
শরণার্থী বেশে নওগাঁর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতীকী এ পদযাত্রা অংশ নেন।
শহরের তাজের মোড় থেকে বের হওয়া এ পদযাত্রায় একাত্তর নওগাঁ থেকে ভারতের বালুরঘাট গমনকারী শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুঃখ-দুর্দশার চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেডির মোডে আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রায় নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, একুশে পরিষদ সভাপতি ডিএম আব্দুল বারী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী গুলশান আরা, নাইস পারভিন, বিষ্ণু কুমার দেবনাথ, রফিকুল ইসলাম ছিলেন।
নাইস পারভিন বলেন, “জন্মলগ্ন থেকেই নওগাঁ একুশে পরিষদ মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, ভাষা আন্দোলন ও ভাষা সংগ্রামীদের নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার, নিপীড়ন, নারীদের সম্ভ্রমহানি, গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে পায়ে হেঁটে নওগাঁ হয়ে হাজার হাজার শরণার্থী ভারতের বালুরঘাট বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন।
“মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেই চিত্র আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি।”
সেই চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই প্রতীকী পদযাত্রা বলে জানান তিনি।
আয়োজক গঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডিএম আব্দুল বারী জানান, “৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার, নিপীড়ন, গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে এপ্রিল মাসে পায়ে হেঁটে নওগাঁর রোড হয়ে হাজার হাজার শরণার্থীরা বালুরঘাটে আশ্রয় নেন। সেসময় চলার পথে অনেকেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে । সেসব চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।”