আগের কর্মসূচি এক মাস মেয়াদের থাকলেও এবারের কর্মসূচি কতদিন চলবে তা উল্লেখ করেনি ইউপিডিএফ।
Published : 17 Feb 2024, 05:56 PM
চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে ১৫ দিন স্থগিত রাখার পর আবারও খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা।
এতে বলা হয়, “ইউপিডিএফ নেতাদের খুনিদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় পানছড়ি বাজার বয়কট করা হচ্ছে।
“মঙ্গলবার থেকে বাজার বয়কট কার্যকর হবে”, বলা হয় বিবৃতিতে।
আগের কর্মসূচি এক মাস মেয়াদের থাকলেও এবারের কর্মসূচি কতদিন চলবে তা উল্লেখ করেনি ইউপিডিএফ।
গত ১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের দুর্গম অনিল পাড়ায় গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা নিহত হন।
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করে আসছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার পর হরতাল, সড়ক অবরোধের পাশাপাশি ১২ ডিসেম্বর থেকে এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বর্জনের ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ।
১২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বাজার বয়কট আরও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। তবে এর মধ্যে ২৯ জানুয়ারি ইউপিডিএফ জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
এখন আবার বাজার বয়কট কর্মসূচির ডাক দিল ইউপিডিএফ।
এভাবে বারবার বর্জন কর্মসূচির কারণে ভয়ে ক্রেতা না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে চরম বিপাকে পড়ার কথা বলেছেন পানছড়ির ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পানছড়ি বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক দোকানের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
বর্জন কর্মসূচির মধ্যে পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দারা তো বটেই; বাঙালিরাও খুব একটা বাজারে আসেন না বলে জানিয়ে একজন ব্যবসায়ী বলছিলেন, “এখানে ইউপিডিএফের ব্যাপক প্রভাব। তাই ভয়ে কেউ বাজারে আসেন না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগেও তারা এমন সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২০ মে থেকে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১১ মাস পানছড়ি বাজার দুই আঞ্চলিক সংগঠনের দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ ছিল।
সেসময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের বাজারে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
চার ইউপিডিএফ কর্মী খুন: টানা ‘বাজার বর্জনে’ বিপাকে পানছড়ির ব্যবসায়ীরা
পানছড়ি বাজার বর্জন স্থগিত করেছে ইউপিডিএফ
৪ নেতা খুন: পানছড়ি বাজার বর্জনের সময় বাড়াল ইউপিডিএফ
ইউপিডিএফের চার নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়িতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা