জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
Published : 14 Sep 2024, 04:52 PM
টানা বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়ার কারণে নোয়াখালীতে বন্যা ও জলাবদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
শুক্রবার থেকে জেলায় বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝড়ো হাওয়া। শনিবার ভোর থেকেও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নোয়াখালীতে শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এতে বিভিন্ন এলাকায় গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যা ও জলাবদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা শহর মাইজদীসহ ৮ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় পথঘাট, বাড়িঘর আবারও পানির নিচে ডুবে গেছে।
ঝড়ো হাওয়া সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে অনেক এলাকায়।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত মাইজদী, সোনাপুর, দত্তেরহাটসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে ৭টি মাছধরা নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
নৌকাগুলোর ৩০ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডুবে যাওয়া নৌকার মালিকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন, নোয়াখালীর আট উপজেলায় শনিবার পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৩৮ হাজার ২৭১ জন।