মঙ্গলবার ২৩ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেন দুদকের এক কর্মকর্তা।
Published : 17 Apr 2025, 07:17 PM
পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব দুর্নীতির মধ্যে আছে- কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল।
বুধবার রাতে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মোহাসীন, এসএএস সুপার মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার আলমগীর হাসান ও পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক এ কে এম মোজাম্মেল হক খান।
গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে অনেকগুলো তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে দুর্নীতির প্রমাণ পায়।
পরে মঙ্গলবার ২৩ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেন পিরোজপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম। এর মধ্য থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই এ দুর্নীতিগুলো হয়েছে। যার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এসব দুর্নীতির কারণেই ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আটটি মামলা করা হয়েছে।
আসমিদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আরও কিছু প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত চলমান আছে বলে জানান তিনি।