নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া কোথাও গাড়ি থেকে কোরবানির পশু নামানো যাবে না, বলছে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ।
Published : 18 Jun 2023, 09:53 PM
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজি ঠেকাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
তিনি বলেন, “কোনোভাবেই পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে পশুবাহী যান গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।”
রোববার হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের মাসিক কল্যাণ ও হাইওয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সভা শেষে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
তিনি নিজেই একটি স্পেশাল টিমসহ মহাসড়কের শৃঙ্খলা তদারকি করবেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিশেষ ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পাঁচটি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো দুর্ঘটনা সামাল দিতে পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত থাকেবে।”
রহমত উল্লাহ বলেন, “কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কুমিল্লা অঞ্চলের আওতাধীন ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও কোনো সংগঠন বা কোনো চক্রকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।
“এ ছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া অন্য কোথাও জোর করে গাড়ি থেকে কোরবানির পশু নামাতে দেওয়া হবে না। যেখানেই অনিয়মের খবর আসবে সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সভায় জানানো হয়, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়ক চাঁদাবাজমুক্ত রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-সিলেট ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জন্য কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের ২২টি থানা ও ফাঁড়ির ৬৬টি টহল টিমের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম।
ঈদের আগ পর্যন্ত মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় সমন্বয় সভা থেকে।
ঈদের আগে ও পরের সপ্তাহব্যাপী হাইওয়ে পুলিশের দুটি গোয়েন্দা টিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কাজ করবে বলেও জানানো হয়। পুলিশ সুপার বলেন, পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোলরুমের পাশাপাশি পাঁচটি সাব-কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
সভায় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদসহ সার্কেল এএসপি, কুমিল্লা রিজিয়নের ২২ থানার ওসি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, মহাসড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা এবারও স্বস্তির ও নিরাপদ হবে।