“চিকিৎসক বলছে, হাফসার ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে।”
Published : 06 Jul 2024, 01:27 PM
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় স্বামীর ছোড়া এসিডে এক নারীর মুখ ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে কেন্দুয়া থানা ওসি এনামুল হক জানান।
এসিড দগ্ধ হাফসা আক্তার ওই উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। হাফসার স্বামী একই উপজেলার মাসকা গ্রামের হুমায়ুন কবির বাকি।
পরিবারের বরাতে ওসি এনামুল বলেন, প্রায় দেড়যুগ আগে হাফসার সঙ্গে হুমায়ুন কবির বাকির বিয়ে হয়। বিয়ে প্রায় ১৭ বছর পার হলেও তাদের সন্তান হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
“এর জেরে কোরবানি ঈদের পর দিন হাফসা বাপের বাড়িতে চলে আসেন এবং বৃহস্পতিবার কাজী অফিসে গিয়ে স্বামীকে তালাক দেন। এই খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বামী হুমায়ূন শুক্রবার রাতে আচমকা শ্বশুর বাড়িতে হাজির হয়ে হাফসার মুখের ওপর এসিড নিক্ষেপ করেন।”
এনামুল বলেন, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।”
ওসি বলেন, “চিকিৎসক বলেছে, হাফসার ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোগীর উন্নীত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে হুমায়ূন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।