মাগুরায় বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা বিদ্যালয়ের দেয়াল ধসে ৮ শিক্ষার্থী আহত

অ্যাকাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার কক্ষটিতে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছিল।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2023, 12:56 PM
Updated : 18 Nov 2023, 12:56 PM

মাগুরার শ্রীপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা দুই কক্ষের মাঝখানের দেয়াল ধসে আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিয়ান কায়কোবাদ হোসেন জানান।

আহতরা হল- রিথি বেগম (১৩), আম্বিয়া আক্তার (১৪), রিয়া আক্তার (১৩), আশরাদা জান্নাত (১৩), নূপুর খাতুন (১৪), নাদিয়া বেগম (১২), মিতু (১৩) ও মমি আক্তার (১৩)।

কায়কোবাদ হোসেন বলেন, এদের মধ্যে ডান হাতের হাড় ভেঙে যাওয়া রিয়া এবং আহত নূপুরকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ডিজিটাল নামে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাকাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছিল। এক পর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ওই কক্ষের মাঝখানে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা অর্ধেক দেয়ালের অংশ ধসে পড়ে আট শিক্ষার্থী আহত হয়।

ঘটনার সময় তিনি ছাড়া কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে ছিলেন না বলে জানান কায়কোবাদ হোসেন।

এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকরা ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, ভয়ে-আতঙ্কে আহতদের কেউ কেউ তখনও কান্নাকাটি করছে। এ সময় অনেক অভিভাবককে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। অভিভাবকদের কেউ কেউ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নাসিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ওয়াল পুরোটা না ভেঙে শুধু বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখাটা কোনোভাবেই বিবেচনা প্রসূত কাজ হয়নি।“

অন্য কক্ষে না নিয়ে এখানেই কেন ছাত্রীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “প্রাণহানি ঘটলে তো সেই বাবা-মারই ক্ষতি হতো।”

ডিজিটাল নামে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক পরিমল বিশ্বাস বলেন, “একজন ছাত্রীর ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে।” 

খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ওই হাসপাতালে যায়।

এ সময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গৌতম ঠাকুর বলেন, “পার্টিশন পুরোটা না ভেঙে বিমের নিচের খানিকটা ওয়াল বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল; যা মোটেও ঠিক হয়নি। এতে অনেক বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত।”

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার অধিকারী বলেন, “ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে আমি এখন বাইরে আছি।”