একদিন আগে পাচারের সময় দুই হাজার ১১৪ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়; যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
Published : 07 Jun 2024, 09:34 PM
সিলেটে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি বোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার এসআই সালাহ্ উদ্দিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন বলে জানান মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে পাচারের সময় নগরীর কোম্পানীগঞ্জ-জালালাবাদ সড়কের উমাইরগাঁও এলাকার থেকে ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়।
উপ-কমিশনার আজবাহার আলী বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করা হয়েছে; তবে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। জব্দ করা যানবাহনগুলোর মালিকদের পরিচয় জানতে বিআরটিএ থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
“তদন্তের পর আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে একটু সময় লাগবে। রোববারের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
পুলিশ জানায়, জব্দ করা ১৪টি ট্রাকে দুই হাজার ১১৪ বস্তা চিনি ছিল; যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার টাকা।
ভারতীয় এসব চিনি পাচারের সঙ্গে ১৪টি ট্রাকে অন্তত ২৮ জন এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মিলিয়ে ৩৫ জন জড়িত ছিল বিলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা যানবাহনগুলোর মধ্যে প্রাইভেটকারটি সিলেট মহানগর যুবলীগের এক নেতার বলে দাবি পুলিশের।
চিনি চোরাচালানের সঙ্গে যুবলীগের ওই নেতা জড়িত ছিলেন বলে ভাষ্য পুলিশের।
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ফাঁড়িপথে উমাইরগাঁও এলাকা দিয়ে চিনির চালানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
যুবলীগ নেতা জড়িতের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তির মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন:
সিলেটে ভারতীয় চিনি বোঝাই ১৪ ট্রাক জব্দ