৯ এপ্রিল দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়েছে।
Published : 15 Apr 2024, 07:22 PM
এবারের ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে সাতদিনে পদ্মা সেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময় সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।
এর মধ্যে ৯ এপ্রিল দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়েছে; এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ে এটা রেকর্ড বলে জানান সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রোজার ঈদের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
এবার রোজার ঈদ ও নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পেরেছেন চাকরিজীবীরা। ফলে মানুষের ঘরমুখো হওয়ার প্রবণতা ছিল উল্লেখযোগ্য হারে।
রোজার ঈদের অন্তত তিন দিন আগ থেকেই (৮ এপ্রিল) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পরিবার-পরিজনদের নিয়ে দলেবলে রাজধানী ছাড়া শুরু করেন। তবে এ সময় সড়কে সবচেয়ে বেশি চাপ গেছে ৯ এপ্রিল। এদিন শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারাখানাসহ অন্যান্য কল-কারখানার একটি বড় অংশের ছুটি হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি, ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি এবং ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাত দিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
অপরদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল থেকে সাত দিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি, ১৫ হাজার ৫৯৬টি এবং ২৩ হাজার ৩০১টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, “পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্যও সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।”