“আটকে পড়া পর্যটকদের কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
Published : 26 Dec 2024, 10:19 PM
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে ‘এমভি গ্রিন লাইন’ নামের একটি জাহাজের ইঞ্জিন বিকল
হয়ে পড়েছে। ওই জাহাজে ৭১ পর্যটক রয়েছেন।
খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে জাহাজটি আটকা পড়ে বলে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম জানান।
জাহাজটিতে অন্তত ৭১ জন পর্যটক রয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহাজ সংশ্লিষ্টদের বরাতে আবুল কালাম বলেন, “সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে এমভি গ্রিন লাইন নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। দুপুরের আগে জাহাজটি সেখানে পৌঁছায়।
“পরে বিকাল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে জাহাজটি ৭১ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা করে। পথে কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, “পরে জাহাজটির ক্রুসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় কোস্টগার্ড স্টেশনকে জানায়। ইঞ্জিন বিকল হবার প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সোয়া ৮টা থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ নৌ-বাহিনী, বিজিবি ও কোস্টগার্ড স্থানীয়দের সহায়তায় পর্যটকদের উদ্ধারে নামে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত আছেন। জাহাজটি যেহেতু একেবারে উপকূলে ভিড়েছে, জোয়ারের পানি কমে গেলে তাদের উদ্ধার করা হবে।”
আটকা পড়াদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। যে কোনো ঝুঁকি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের উদ্ধারের পর তাদের কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”