এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
Published : 16 Dec 2024, 12:44 AM
জোড় ইজতেমার অনুমতি এবং ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনতে সমাবেশ করে সরকারের প্রতি সময় বেঁধে দিয়েছেন তার অনুসারীরা।
রোববার সকালে টঙ্গী কামারপাড়া রোড এলাকায় সমাবেশ করে সাদ অনুসারীরা এই হুঁশিয়ারি দেন।
অপরদিকে ইজতেমা মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা জুবায়েরের সমর্থকরা।
পুলিশ ও তাবলিগ জামাত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করেন বাংলাদেশি জুবায়েরের অনুসারীরা। এরপর ইজতেমা মাঠে ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা পালনের ঘোষণা দেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা।
কিন্তু জুবায়ের অনুসারীরা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা মাঠে জোড় পালন করতে দেবেন না। পাশাপাশি সরকার থেকেও অনুমতি নেই। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এর মধ্যে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ তীরে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা সফল এবং ২০ ডিসেম্বর থেকে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় মাওলানা সাদের উপস্থিতির দাবি জানায় তার অনুসারীরা। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরে সাদপন্থিদের ইজতেমা ঠেকাতে সড়ক অবরোধে জুবায়েরপন্থিরা, গাড়ি ভাঙচুর
টঙ্গীতে শেষ হলো ৫ দিনের জোড় ইজতেমা
পরে তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সকাল ১০টার দিকে সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কের পাশে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিপুল মানুষের উপস্থিতির কারণে জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কে কিছু সময় যানচলাচল ব্যাহত হয়।
মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু সায়েম জানান, ২০ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি এবং মাওলানা সাদকে আসার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার রাত ১২টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান করা হবে।
বিকাল ৩টার দিকে টঙ্গী কামারপাড়া রোড এলাকায় তাবলিগের শুরায়ি নেজামের আহ্বানে উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেখানে মূলত মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী ও জিএমপির কমিশনার নাজমুল করিম খান আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের অপসারণ করতে হবে।”
সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে আমরা ইজতেমা ময়দানে আছি। যে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দায় ওই দুইজনকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।