সেখানে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
Published : 06 Feb 2025, 10:16 PM
বগুড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করার পর গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাংশ। একইসঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঐতিহ্যবাহী টাউন ক্লাব এবং জেলা জাসদের (ইনু) কার্যালয়।
অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে জাতীয় পার্টি এবং শ্রমিক জোটের কার্যালয়েও।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে হামলা ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চললেও সেখানে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথমে বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাত মাথায় শেরপুর রোডে আওয়ামী লীগ জেলা হামলা চালানো হয়।
সেখানে অগ্নিসংযোগের পর সাতমাথায় থাকা জেলা জাসদ (ইনু) ও জাতীয় শ্রমিক জোট কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে একদল মানুষ।
পরে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে জাতীয় পার্টি কার্যালয়েও চালানো হয় ভাঙচুর। করা হয় অগ্নিসংযোগ।
এ সময় আগুন এবং ভাঙচুর করা কয়েকশত জনতা শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা পর্যন্ত মিছিল করলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্লোগান শোনা যায়, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘দিল্লী না ঢাকা- ঢাকা, ঢাকা’; ‘পিনাকী দাদার অ্যাকশন- ডাইরেক্ট এ্যাকশন’।
এছাড়াও শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল এবং হাসানুল হক ইনুকে হাসিনার দালাল হিসাবেও শ্লোগান দেওয়া হয় মিছিলে।
এছাড়া অনেককেই আওয়ামী লীগ-জাসদ-জাতীয় শ্রমিক জোট অফিস থেকে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।
পরে রাত ১০টার পর বিক্ষুব্ধকারীরা বুলডোজার নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ অফিসের একাংশ, ঐতিহ্যবাহী টাউন ক্লাব এবং জাসদ অফিসে ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
তখনও সেখানে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে দেখা যায়নি।
এসব ভাঙ্চুর যখন চলে তখন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
রাত ১২টা পর্যন্ত জাসদ অফিস বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর চলছিল।
এ বিষয়ে জানতে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিলকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন- শহরে অগ্নিসংযোগ করার বিষয়ে তিনি জানেন না।এখন জানার পর কী ব্যবস্থা নিবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- “দেখি।”
এছাড়া এই বিষয়ে জানতে বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে জেলা পুলিশ সুপার জিদান আল মুসাকে কল করা হলে তিনিও ধরেননি।