নয় দফা দাবির অনুলিপি অন্তর্বতীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র, আইন ও বিচার উপদেষ্টা, বিজিবি মহাপরিচালক বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
Published : 15 Sep 2024, 07:01 PM
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ নয় দফা দাবিতে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন নীলফামারী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর কল্যান পরিষদের সদস্যরা।
রোববার দুপুরে নীলফামারীর নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানে কার্যালয়ে তার মাধ্যমে সেনা প্রধান বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
এ সময় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য আব্দুল আলিম, মহসীন আলী ও আবু বক্করসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিটি ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের’ কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সদস্য মহসীন আলী জানান, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মৃত্যবরণ করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নয় দফা দাবিগুলো হলো- পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে কবে। চাকরিচ্যুত সব পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের শনাক্ত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ট্রাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও রয়েছে তাদের।
মহসীন আলী বলেন, “আমরা নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সেনা প্রধান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ওই নয় দফা দাবি অনুলিপি অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র, আইন ও বিচার উপদেষ্টা, বিজিবি মহাপরিচালক বরাবরও পাঠিয়েছি।
“আমরা আশা করি, সেনা প্রধান ও অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার আমাদের ন্যায় বিচারসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করবে।”