এসআই বলেন, “এর মধ্যে শুধু শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থানায় ১৩৫টি জিডি হয়েছে।”
Published : 04 Jan 2025, 10:32 PM
যশোরে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিল থেকে কয়েকশ মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যশোর শহরতলীর পুলেরহাট এলাকায় আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের পেছনে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন।
শনিবার পর্যন্ত মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনায় ৫০০ বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই শারমিন আক্তার জানান।
তিনি বলেন, “এর মধ্যে শুধু শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থানায় ১৩৫টি জিডি হয়েছে।”
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাগাসোরা গ্রামের রাবেয়া খাতুন (৪৫) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামের মিনারা আক্তার মীম (১৯)।
স্থানীয়রা জানান, শেষ দিনে মাহফিলে দুই জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী ও শায়খ আহমাদুল্লাহ আলোচনা করেন। তাদের আলোচনা শুনতে এ দিন লাখ লাখ নারী-পুরুষ সভাস্থলে যান। সেখানে ভীড়ের সুযোগে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার সাংবাদিক মুর্শিদুল আজিম হিরু বলেন, তিনি শুক্রবার মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার জামার পকেটে থাকা একটি দামী মোবাইল ফোন সেট কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় তিনি শনিবার থানায় জিডি করেছেন।
কোতোয়ালি থানা জানায়, গলার স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনায় পাঁচ নারী জিডি করেছেন। তারা হলেন- যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ার মাছ বাজার রোডের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মোছা. নাহারুন নাহার, সদর উপজেলার দক্ষিণ নুরপুরের আবুল কাশেম শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম, বাঘারপাড়া উপজেলার ঠাকুরকাঠি গ্রামের খলিল রহমানের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট এলাকার মকবুল হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগম এবং চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রনজু আরা।
এর মধ্যে মোছা. নাহারুন নাহারের অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে মাহফিল থেকে স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনায় সভাস্থল থেকে ছয় নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। শনিবার যাচাই-বাছাই শেষে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।