সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ছাড়াও জুলাই-আগস্ট হামলায় নিহতদের স্বজন, আহত ছাত্র-জনতা এবং সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
Published : 04 Dec 2024, 05:50 PM
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের দিকে মাইকে উচ্চস্বরে উসকানিমূলক স্লোগানের প্রতিবাদে ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্তে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তবর্তী বিলোনিয়া স্থলবন্দরের পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম, মো. ওমর ফারুক শুভ, মোহাম্মদ শাওন, ফুলগাজী উপজেলার সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বাবু, আজিজুল্লাহ আহমদী, জাহাঙ্গির আলম, ছাত্র সোহাগ, সৌরভ হোসেন।
মুহাইমিন তাজিম বলেন, “বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ভারত। তারা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে হুমকি দিয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এর দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. ওমর ফারুক শুভ বলেন, “ভারতে আগরতলায় উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকনের নেতৃত্বে উপ-হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা ও বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল একই সূত্রে গাঁথা। কোনোভাবেই ভারতের এই আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। এসব ঘটনায় ভারত সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।”
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ছাড়াও জুলাই-আগস্ট হামলায় নিহতদের স্বজন, আহত ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, পরশুরাম-ছাগলনাইয়ার (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ, বিজিবি-৪ ব্যাটালিয়নের সহঅধিনায়ক নুরুল ইসলাম, পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
সকালে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ট্রাংক রোড থেকে বাসে করে বিলোনিয়া সীমান্তে যায় শতাধিক ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতাকে দুই দেশের সীমানা শূন্যরেখার ৩০০ গজের বাইরে কর্মসূচি করার নির্দেশনা দেন বিজিবি।
রোববার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতের বিলোনিয়া স্থলবন্দর এলাকায় উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয় ‘সনাতনী হিন্দু সমাজ’ এর নেতাকর্মীরা।