২০১৫ সালে হাবিবুরের বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদক মামলা করে।
Published : 29 Jan 2024, 04:00 PM
নয় বছর আগে দুদকের করা অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা ডাকঘরের এক কর্মচারীকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী সোমবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে দুদকের আইনজীবী হারুনর রশীদ জানান।
দণ্ডিত হাবিবুর রহমান বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায়।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৯১ টাকা জরিমানা করা হয় রায়ে। এ ছাড়া ৬০ কার্যদিবসে মধ্যে জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ সাল থেকে আসামি হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা ডাকঘরে পোস্টাল অপারেটর পদে দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। এর মধ্যে তিনি মৃত ব্যক্তি ও ভুয়া সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে অর্জন করা অর্থ দিয়ে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ, ৪৫ বিঘা জমি ও সন্তানদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করেন।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
আইনজীবী হারুনর রশীদ বলেন, “রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে কেউ পার পাবে না। তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।”
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান জানান, এ রায়ে তারা ন্যায়বিচার পাননি। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।