আগামী জুনেই ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেল চলাচল, আশা মন্ত্রীর

‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত বিশেষ ট্রেনে চড়েই পদ্মা সেতুতে রেলপথ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2023, 01:32 PM
Updated : 10 Jan 2023, 01:32 PM

পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী জুনেই ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। 

মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিক সফরে সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ পরিদর্শন করে এ কথা জানান মন্ত্রী।

এর আগে মন্ত্রী মাওয়া রেলস্টেশন ঘুরে সড়কপথে পদ্মা সেতু হয়ে জাজিরা প্রান্তের পদ্মা স্টেশন থেকে ‘ট্র্যাক কারে’ ওঠেন। ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত সেই বিশেষ ট্রেনে চড়েই পদ্মা সেতুতে রেলপথ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করেন তিনি। 

রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কাজ দিনরাত চলমান আছে, যেহেতু এখন কাজের মৌসুম। যেটুকু দেখেছি অগ্রগতি সন্তোষজনক। 

মন্ত্রী বলেন, কাজের সুবিধার জন্য ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত রেললাইনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি হচ্ছে মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত অংশটি। ভাঙা পর্যন্ত পুরানো রেললাইন ছিলো, তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারলে পদ্মা সেতু রেল চলাচলের জন্য উপযোগী করা যাবে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, সামনে একটি নির্বাচন আছে। নির্বাচনী বছরে প্রকল্পের তিন ভাগের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে টাইমলাইন ঠিক করেছিলাম।

“কাজে যে অগ্রগতি, সেখানে আমরা আশা করছি আগামী জুনে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু করতে পারবো।” 

সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে জানিয়ে পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, কাজের গুণগত মানকে গুরুত্ব দিয়ে দিনরাত কাজ চলছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৭০ শতাংশের বেশি। 

পদ্মা সেতুর নিচতলা দিয়ে রেল চলাচলের জন্য ২০১৬ সালের মার্চে ‘পদ্মা রেল সংযোগ’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।

চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে।

দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় উন্নীত করে এবং দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে সংশোধন করতে হয়।

সে হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ উন্নীত করা হয়।

এ সময় একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে সড়ক এবং রেল একই দিনে উদ্বোধনের ইচ্ছা পোষণ করেন।

কিন্তু কাজ শুরু করার পর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন আবারও পিছিয়ে পড়ে। ২০২০ ও ২১ পরপর দুই বছর চীনা পরামর্শক এবং প্রকৌশলীদের কাজে বিঘ্ন ঘটায় আবারও বাধার মুখে পড়ে প্রকল্পটি।

এমন বাস্তবতায় গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন থেকেই সেতুতে সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও রেল এ বছরের জুন থেকে শুরু হবার আশা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন-

Also Read: পদ্মা সেতুর রেল লাইনে চললো পরীক্ষামূলক ট্রেন