শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীকে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়েছেন।
Published : 05 Nov 2023, 10:23 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে নিয়ম রক্ষার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার দিনভর ভোট শেষে রাত ৯টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চলতি নভেম্বর মাসেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় শূন্য আসন হওয়ায় শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদে তিনবার নির্বাচন হল এ আসনটিতে।
শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীকে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
এ ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ লাঙ্গল প্রতীকে ৩ হাজার ১৮৬ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন আম প্রতীকে লড়ে পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টায় ১৩২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। প্রায় সবকটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ‘ওপেন ভোট নেওয়ার পাশাপাশি জাল ভোট দেওয়ার’ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর গত ১লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাত্তার।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম একাদশ জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগ দিতে না পারলেও ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকবে।
ইসি জানিয়েছে, বিদ্যমান আচরণবিধিতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধান হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রকে ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাদের আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নিতে হবে। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ডেও যোগ দিতে পারবেন না।