উৎসব শেষে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
Published : 26 Jan 2024, 09:22 PM
‘চলো হারাই শৈশবে’ শ্লোগানে ফরিদপুরে পদ্মা তীরের ধলার মোড়ে অনুষ্ঠিত হল বর্ণাঢ্য ঘুড়ি উৎসব।
আকাশে উড়ছে ড্রাগন, কঙ্কাল, সাপ, স্টার, চিল, বাদুড়, অক্টোপাস, বক্সসহ বাহারি রঙ ও আকৃতির শত ঘুড়ি।
উৎসবটি কিছু সময়ের জন্য বর্ণিল করে তুলে পদ্মার পাড়, শীতের আকাশ।
শুক্রবার ছুটির দিনে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে ‘ফরিদপুর সিটি পেইজ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। এ সময় ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম।
সপ্তমবারের মত আয়োজিত এ উৎবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত প্রতিযোগী নানা আকৃতি ও রঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন।
ঘুড়ি প্রেমীরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসবে মেতে থাকেন।
শীতের আকাশকে বর্ণিল করে তোলা উড়ন্ত ঘুড়ি পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ।
উৎসব দেখতে ফরিদপুর শহর ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা ভিড় করেন। সেখানে ঘুড়ি বিক্রির ব্যবস্থাও ছিল।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ঘুড়ি উৎসব দেখতে আসা লিটু সিকদার বলেন, “উৎসব দেখতে এসে মানুষের ভিড়ে দিশেহারা অবস্থা হয়েছে। ইজিবাইক ছেড়ে অনেক দূর হেঁটে আসতে হয়েছে।”
অংশ নেওয়া অনেকে জানান, ঘুড়ি উৎসবে এসে তাদের খুব ভালো লেগেছে। কিছু সময়ের জন্য তারা যেন শৈশবে ফিরে গেছেন।
এ ধরনের আয়োজন মাঝে মাঝেই হওয়া দরকার বলে তারা মনে করেন।
আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়কারী এমদাদুল হাসান বলেন, “বাঙালির ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে আগামী প্রজন্মের মেলবন্ধ ঘটানোর জন্য এ ধরনের আয়োজন। এ ছাড়া বাঙালির ঐতিহ্যকে বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও আয়োজনের লক্ষ্য।”
উৎসবের উদ্বোধক জেলা প্রশাসক কামরুল আহসন তালুকদার বলেন, “এ ধরনে উৎসব আমাদের তরুণ ও যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধপ্রবণতা থেকে দূরে রাখবে। তাদের প্রতি আজকের আহ্বান, মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে বিরত থেকে এ ধরনে কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার।”
উৎসব শেষে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।