“ভোর রাতে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যাই। মনে হলো যেন, বিল্ডিং ভেঙে পড়ে গেছে।”
Published : 09 Mar 2025, 10:26 AM
চাঁদপুরে ‘গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে’ বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছে।
রোববার সেহেরির সময় শহরের কোরালিয়া রোড রুস্তম বেপারী বাড়ির চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলছেন, দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে আব্দুর রহমান সরদার (৬৫), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫৫), পুত্রবধূ খাদিজা আক্তার (৩২) ও ছোট ছেলে মুহিমকে (১৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠিয়েছেন তারা।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, খাদিজার শরীরের ৮৫ শতাংশ, শাহনাজ বেগমের ২০ শতাংশ, আব্দুর রহমানের ১৮ শতাংশ এবং মুহিমের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আর চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আব্দুর রহমানের বড় ছেলে ইমাম হোসেন সরদার (৩২) ও মেজ ছেলে মিরাজের স্ত্রী নিবা আক্তার (২১)।
এদিকে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দগ্ধদের স্বজনরা ধারণা করছেন।
আব্দুর রহমান সরদারের ভাগিনা শাহ আলম বলেন, “পরিবারের লোকজন ভোর রাতে সেহেরি খাওয়ার জন্য ওঠে। এ সময় রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্না ঘরসহ কয়েকটি কক্ষের আসবাবপত্র ও লেপ-তোশক পুড়ে যায়।
“গুরুতর আহত ৬ জনকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভবনের প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।”
ওই ভবনের পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী নাজনিন নিহা বলেন, “ভোর রাতে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যাই। মনে হলো যেন, বিল্ডিং ভেঙে পড়ে গেছে।”
আরেক প্রতিবেশী রাশিদা বেগম বলেন, দগ্ধ ৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, যাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তাদের কারও শরীরের ৫০ শতাংশ ও কারও ৬০ শতাংশ পুড়েছে। আর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে।