প্রতিপক্ষের লোক ভেবে তাকে ছুরিকাঘাত করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার দিন পর তার মৃত্যু হয়।
Published : 14 Mar 2025, 03:25 PM
রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক গোলাম হোসেন খুনের ঘটনায় দলটির ছয় নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী পরীবানু বেগম বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন বলে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ওসি মোস্তাক হোসেন জানান।
তিনি বলেন, মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, নগরের শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুর হক ফাহি, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, মহানগর মহিলা দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলী আক্তারের স্বামী সোহেল রানা ও তার ভাই নাঈম হোসেন এবং যুবদল কর্মী রনি।
আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মোস্তাক হোসেন।
গত ৬ মার্চ নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে হানা দেওয়া ও তার ভাইকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয় বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী।
এর জেরে পরদিন বিএনপির অন্য একটি পক্ষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় হানা দেওয়া নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে।
নগরীর কাদিরগঞ্জের দড়িখড়বোনা ও গোরহাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে হাতবোমা বিস্ফোরণ, গোলাগুলির শব্দ শুনেন স্থানীয়রা।
এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনাও ঘটে।
মালিকের রিকশা জমা দিয়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোক ভেবে সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন গোলাম হোসেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বিএনপির সংঘর্ষে আহত রিকশাচালকের মৃত্যু