চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তারে আট ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফের অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 31 Oct 2024, 04:35 PM
বাস চাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার চেয়ে ফের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া অবরোধ বিকাল ৪টায়ও অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে পড়ে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা ফাউজিয়া মিম ১ নম্বর গেট সংলগ্ন মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বাস চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান।
মিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২তম ব্যাচের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
ঘটনার পরপরই নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
তখন চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে আট ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক ছেড়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বাসচাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত, অগ্নিসংযোগ
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তারা ফের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ববি শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, “রাস্তা পার হওয়ার সময় মিমকে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
“নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, সড়কে স্পিডব্রেকার স্থাপন ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। নয়তো আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ববি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে থানায় থানায় মেসেজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।