সিলেটে হাতের ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে রোগীর কিডনি অপসারণ অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে বলে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জেলার কানাইঘাটের ফতেহগঞ্জের বাসিন্দা খছরু মিয়া বলেন, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ওই হাসপাতালে তার বাঁ হাতের অস্ত্রোপচার করার। এর পর থেকে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। কোনো কাজ করতে পারছিলেন না। পাশাপাশি প্রস্রাব ও মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয়।
এ অবস্থায় তিনি গত ১৫ জানুয়ারি জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করেন। সেখানে নিশ্চিত হন, তার বাঁ দিকের কিডনি নেই।
পরে এ ঘটনায় গত বুধবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করেন খছরু মিয়া। আদালত সিলেট কোতোয়ালি থানার পুলিশকে আবেদনটি এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে, এ ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. হিজবুল্লাহ জীবনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
তবে সোমবার কমিটির প্রধান আরও সাত কর্মদিবস বাড়ানোর আবেদন করলে মোট ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে উপ পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান।
রোববার থেকে এ কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালতের নির্দেশনার পর শুক্রবার খছরু মিয়ার মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে বাঁ হাতের অস্ত্রোপচারের সময় তার বাঁ দিকের কিডনি অপসারণ করে নেওয়া হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
আর্থিক সুবিধার জন্য চিকিৎসকেরা তার কিডনি অপসারণ করে নিয়ে থাকতে পারেন বলে মামলায় বলেন খছরু মিয়া।
এজাহারে কারও নাম উল্লেখ না করলেও গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা সহকারী রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।