“কিশোর গ্যাং তৈরির কারিগর রুবেল হোসেন রাতে মোমিনকে হত্যার আগে, তার বাসায়ও হামলা করেছিল।”
Published : 26 Feb 2025, 01:47 PM
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বিরোধের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীররাতে আশুলিয়ার গাজীর চটের বসুন্ধরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান।
নিহত মোমেনুল ইসলাম মোমিন (২৮) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার খাস দাউদপুর এলাকার আজাহারের ছেলে।
তিনি পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চাড়ালপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আটকরা হলেন- আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার সুরুজের ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল (১৮), একই এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে আশিকুল ইসলাম আসিফ (২২), দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে মো. আলিফ (১৮), একই এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে রমজান (২৬), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার ধামগর পূর্ব পাড়া এলাকার দৌলত মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহিম (৪৮)। বাকি একজন কিশোর।
স্থানীয়রা বলছে, মাদক ব্যবসা নিয়ে রুবেল ও মোমিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রুবেল বিভিন্ন সময় মোমিনকে মাদক ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। মোমিন তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে রাতে রুবেলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মোমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরুল হাসান বলেন, রাতে তিনি মোমিনের সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ঘটনাস্থলের পাশের একটি চটপটির দোকানের সামনে রুবেল ও তার অনুসারীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মোমিনকে দৌড়ে পালাতে বলেন।
তিনি বলেন, “মোমিন দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে যায়। এ সময় তারা তাকে প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর কুপিয়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
নিহতের বন্ধু সামিম হোসেন বলেন, “কিশোর গ্যাং তৈরির কারিগর রুবেল হোসেন রাতে মোমিনকে হত্যার আগে, তার বাসায়ও হামলা করেছিল।”
নিহতের স্ত্রী বিউটি আক্তার বলেন, “রুবেল মাদকের ব্যবসা করতো। সে আমার স্বামীকে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, সে রাজি হয় নাই৷ পরে আমাকেও প্রস্তাব দিয়েছে আমিও মানা করে দিয়েছি। পরে হুমকি দিয়েছে।
“তাও না শোনায় পরে বলেছে, একবারে মেরে দিমু। পরে একবারে মেরে ফেললো। আমি এই হত্যার বিচার চাই।”
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, “রুবেলের নেতৃত্বে মোমিন নামের একজনকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করি।
“আটকরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”