“শান্তিচুক্তি করেছি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে মেনে নিয়ে, এখনো আমরা মানি।”
Published : 15 Feb 2025, 09:48 PM
জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার।
তিনি বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কোনো দিন কোথাও বলেনি- বিচ্ছিন্ন হবে। বাংলাদেশ থেকে বাইরে যাবে, এটা কোনো দিন বলেনি। জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের 'অবিচ্ছেদ্য' অংশ; এটা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে।”
শনিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে জনসংহতি সমিতির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “শান্তিচুক্তি করেছি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে মেনে নিয়ে, এখনো আমরা মানি। ইউটিউব, ফেইসবুকে অনেক লেখা-লেখি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। কত কী লেখা-লেখি হয়। কিন্তু এগুলো জনসংহতি সমিতি লিখে না।
“এগুলো কিছু আজেবাজে লোক বিভ্রান্ত করার জন্য লিখে; এগুলোর সঙ্গে জনসংহতি সমিতি সংশ্লিষ্ট নয়। এসব ভুল ধারণা থেকে সরকার, সেনাবাহিনী, পুলিশ বেরিয়ে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা রইল।”
এর আগে সকালে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন’- এই স্লোগানে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভা করেছে পাহাড়ের প্রথম টি।
এ সময় ঊষাতন তালুকদার আরও বলেন, “পাঠ্যবই থেকে আদিবাসী লেখা গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে ও গ্রাফিতি স্থাপনের দাবির আন্দোলনে হামলা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা জাতিসংঘের রিপোর্টেও উঠেছে এসেছে।”
পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হলে অধিকার আদায়ে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য গুণেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কে এস মং, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ভবতোষ দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা।