বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল, সড়কে গাছ ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করেছেন সমর্থনকারীরা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টের কাজিরবাজার ব্রিজ এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে সিলেট মহানগর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদকে আটক করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, শেখঘাট এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে সিলেট-গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ রোড়ের দক্ষিণ সুরমা সংযোগ সড়কে রাস্তায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন অবরোধের সমর্থনকারীরা। এ সময় তারা বাঁশ এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেখানে নেতা-কর্মীরা অবরোধ সমর্থনে স্লোগান দেন। কিছুক্ষণ পরে তারা চলে যান।
তবে সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কে গাছ ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন মোগলাবাজার থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন।
এদিকে, সকালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার ও মদিনামার্কেট এলাকায় ঘুরে অবরোধের প্রভাব চোখে পড়েনি।
সড়কে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মালবাহী গাড়ি, মোটরসাইকেল ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়ে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাউন্টারে যাত্রী না আসার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
দুদিনের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রশাসনের মামলা ও গ্রেপ্তারের মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
“নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, নগরীতে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে ।