ফেনী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, তাকে গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেত্রী নিজেই শুক্রবার মধ্যরাতে তার ফেইসবুকে এক পোস্টে এ অভিযোগ তোলেন।
সাদিয়া সুলতানা রাত্রি (২২) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফেনী কলেজ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছুদিন আগে চক্রটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় আমার ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মামলাটি বর্তমানে সিআইডির তদন্তে রয়েছে। তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য আমাকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।”
সড়কে আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি শুক্রবার মাঝরাতে তার ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আরও বলেন, গত বুধবার রাতে ব্যাটারিচালিত টমটমে করে বাসায় ফিরেছিলেন। পথে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল টমটমটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও বিস্তারিত জানা যাবে সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে প্রতিবেদন পাওয়ার পর।
গত অক্টোবরে সাবেক আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে নিজের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তোলপাড় শুরু হয়।
যদিও ছবিগুলোকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সম্পাদন করার অভিযোগ করে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান রাত্রি।
রাত্রি তার ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, “মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, এডিট করা ছবি দিয়ে যখন আমাকে দমানো যায়নি। আমি যখন তাদের অন্যায় আবদারের সঙ্গে আপস করিনি এবং আমি যখন আইনের আশ্রয় নিচ্ছি, ঠিক তখনই আমাকে খুনের চেষ্টা করা হয়, রাস্তায় আমাকে গাড়িচাপা দেওয়া হয়।
“তদন্তের স্বার্থে আমি এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না, তবে খুব শিগগিরই সবকিছু সামনে আসবে। আমি আসব, সসম্মানে আসবো ইনশাআল্লাহ।”
এ বিষয়ে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ বলেন, “কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাত্রির দুর্ঘটনার সংবাদ আমি পেয়েছি, এর বেশি কিছু জানি না।”
ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ তপু বলেন, “রাত্রির ঘটনা আমরা খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানানো হয়েছে। আমরা শ্রীঘ্রই তার সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নেব।”
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”