“ক্রয় প্রক্রিয়াটি আগের সিভিল সার্জনের সময়ে সম্পন্ন হয়েছিল”, বলেন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
Published : 02 Feb 2025, 11:18 PM
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ‘অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ আনা ১৭ ধরনের ওষুধের শতাধিক কার্টন জব্দ করেছে দুদক।
সপ্তাহের ব্যবধানে রোববার দুপুরে চালানো দুদকের অভিযানে হাসপাতালের স্টোর রুমে তোলার আগ মুহূর্তে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে দুদকের জেলা উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলা হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের ওষুধসামগ্রী সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজয়ী দরদাতা হিসেবে সাউথ বাংলা করপোরেশনের সামসুল আরেফিন কার্যাদেশ পান।
দুদকের উপপরিচালক বলেন, সাউথ বাংলা কোনো ওষুধ সরবরাহ না করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রায় দুই কোটি টাকা পরিশোধ করে। তখন শুধু রেকর্ডপত্রে ওষুধ পাওয়ার হিসাব নথিভুক্ত করে ও সেসব ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে দেখান।
এ বিষয়ে দুদকের তদন্ত দল ২৭ জানুয়ারি অভিযানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়।
দুদকের অভিযানে বিষয়টি ধরা পড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধ সরবরাহকারীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজসে আগের কার্যাদেশের ওষুধ গোপনে হাসপাতালে আনার চেষ্টা করে।
দুদক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, “মালামাল ভরতি একটি ট্রাক হাসপাতালে প্রবেশ করার গোপন খবরে আমরা ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রীসহ ট্রাকটি আটক করি।”
তবে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “এ ক্রয় প্রক্রিয়াটি আগের সিভিল সার্জনের সময়ে সম্পন্ন হয়েছিল। তাই এ বিষয়ে তদন্ত না করে কিছু বলতে পারছি না।”
দুদক উপ-পরিচালক বলেন, “নির্বাহী হাকিমের সহায়তায় আমরা তালিকা প্রস্তুত করি। জব্দ ওষুধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে রাখা হয়।
“পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নেব। রেকর্ডপত্র যাচাই-বাচাই করে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।”
গেল সপ্তাহের সোমবার দুদকের অভিযানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৪৬৭টি ওষুধে এ অনিয়ম ধরা পড়ে।
সেদিন হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওষুধসহ কিছু মালামাল সরবরাহ করতে না পারায়, ‘সিকিউরিটি হিসেবে’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এক কোটি ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৬১২ টাকা মূল্যমানের তিনটি চেক দিয়েছে।
তবে দুদক বলছে, মালামাল না দিয়ে চেক আদান-প্রদানের কোনো নিয়ম নেই।