বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
Published : 08 Dec 2024, 08:11 PM
বিএনপির একক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়নি, তাতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, “একক বিএনপির আন্দোলনে আন্দোলন সফল হয়নি। আরো অনেকগুলো রাজনৈতিক দল, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্রে নেমে এসেছিল বলেই আমরা এ আন্দোলনকে সফল করেছি। স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে সবাই মিলে একত্রিতভাবে।
“মানুষ স্বৈরাচারকে খেদিয়ে দিয়েছে, বিদায় করেছে। পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে সবার মিলিত প্রচেষ্টায়; লক্ষ কোটি মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায়। ঠিক সেইভাবে পরবর্তীতে দেশকে গড়তে হলে বিএনপি শুধু একা পারবে না। দেশকে গড়তে হলে পুনর্গঠন করতে হলে আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
বিএনপি নেতা বলেন, “দল-মত নির্বিশেষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যেভাবে জুলাই-অগাস্ট মাসে আন্দোলনের সময় দলমত নির্বিশেষে সবাই রাজপথে নেমে এসেছিল, ঠিক সেইভাবে আমাদেরকে মিলে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে।”
রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “কথায় কথায় অনেকেই বলে থাকেন- দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সবচেয়ে বড়। কাজেই এই যে মানুষের আস্থা, বিএনপির সামনে যে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা, এটিকে সফল করা সম্ভব একমাত্র আমরা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি।
“বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত থাকবেই, থাকতেই পারে। আমাদের ৩১ দফাই শেষ না, এটি কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ না যে এটিকে পরিবর্তন করা যাবে না। অবশ্যই এখানে নতুন জিনিস যুক্ত করা যাবে। কোনো ব্যক্তি, কোনো সংগঠন, কোন দল যদি ভালো প্রস্তাবনা দেয় অবশ্যই সেটি আমরা গ্রহণ করব। কিন্তু আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে।”
তিনি বলেন, “এজন্য আমরা জাতীয় সরকারের কথা বলেছি। আমরা আন্দোলনরত যে দলগুলো ছিলাম একসঙ্গে, আমরা চাই সব দলকে নিয়ে এমন একটি সরকার গঠন করতে যেখানে সব মানুষ তাদের মতামত রাখতে পারবেন এবং সবাই মিলে কাজ করতে পারবেন।”
তারেক রহমান বলেন, “সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সরাসরি হয়ত রাজনীতিতে জড়িত নন কিংবা জড়িত হতে চান না। কিন্তু দেশের জন্য তারা কাজ করতে চান। হতে পারে সাংবাদিক, চিকিৎসক, কবি, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেইজন্য আমরা উচ্চকক্ষ কথাটি বলেছি।”
বরিশাল বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ৩১ দফা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বরিশাল বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নেওয়াজ হালিমা আরলী, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।