শনিবার প্রথম নিজের নির্বাচনি এলাকায় প্রচারে এসে দলের কর্মীসভায় জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
Published : 23 Dec 2023, 04:04 PM
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, কিন্তু এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে বলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেছেন, “নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা নাহলে ভালো নির্বাচন হয় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না। জাতীয় পার্টি এখন কোনো দোটানার মধ্যে নেই। আশা ও আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা আরও বলেন, “জাতীয় পার্টির রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছে। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
প্রতীক বরাদ্দের পর শনিবার প্রথম নিজের নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটির আংশিক) আসনে প্রচারে এসে দলের কর্মীসভায় জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। যার মধ্যে জাপা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের ঢাকা-১৮ আসনও রয়েছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীকে ‘বসিয়ে’ দিয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আমি এতদিন ঢাকায় কথা বলিনি, এখন মায়ের কোলে বসে কথা বলছি মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, “আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে, আমরা জোট করেছি।
“আমাদের প্রার্থীরা অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।”
কর্মীসভায় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এস এম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, জেলা পার্টির সদস্যসচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে সকালে পল্লী নিবাসে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত এবং মুন্সিপাড়া কবরস্থানে বাবা-মার কবর জিয়ারত করেন তিনি।
বিকালে পাগলাপীরে জনসংযোগ দিয়ে মাঠ পর্যায়ের প্রচার শুরু করেছেন জি এম কাদের। তিনি দুদিন সেখানে অবস্থান করবেন।
রংপুর-৩ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) এবং তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর সদর ও সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুইজন।