“আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য দুই টাকায় বিশটি হাত পাখা কিনলাম। এখন বাচ্চাদের তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।”
Published : 19 May 2024, 04:30 PM
কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যান্ত চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে দশটি পরিবেশ বান্ধব পাখা উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট-‘ফুল’।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার আরাজী কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এসব পাখা তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বানু ও ফুলের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের।
শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও অসহায় বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করে আসা সংগঠন ‘ফুল’ চরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে এক টাকায় খাতা কলম বিক্রি করে আসছে।
তারা এরই মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানে এক টাকায় খাতা-কলম বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় তীব্র তাপদহে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও কষ্টের কথা চিন্তা করে চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক টাকার বিনিময়ে দশটি ‘পরিবেশ বান্ধব’ পাখা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।
হাত পাখা পেয়ে শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলেন, “আমাদের স্কুলে বিদ্যুৎ সবসময় থাকে না। গরমে ক্লাসের বই খাতা নিয়ে শরীরে বাতাস করতে হয়।এতে বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। আজ ফুল সংগঠনের পরিবেশ বান্ধব হাত পাখা পাইলাম।আমাদের আর কষ্ট হবে না।
আরাজী কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রাজু আহমেদ বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর গরম। কারেন্ট ঠিক মত থাকে না; খুব কষ্ট হয়। ফুলের পরিবেশ বান্ধব পাখা পেয়ে খুব ভালো লাগল।”
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বানু বলেন, “এ অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সবসময় থাকে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে স্কুলের বাচ্চাদের কষ্ট হয়। হাতে যা পাইতো, তা দিয়ে গরম নিবারনের চেষ্টা করতো।
“ফুল সংগঠন চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক টাকায় দশটি পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি করছে। আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য দুই টাকায় বিশটি হাত পাখা কিনলাম। এখন বাচ্চাদের তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
“এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ফুলকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের এ কাজ গুলো অব্যাহত থাকুক।” যোগ করেন তিনি।
ফাইট আনটিল লাইট-ফুল এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের বলেন, “ফুল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করার চেষ্টা করছে।
“আমরা চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সপ্তাহব্যাপী পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।“