পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানান প্রক্টর।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 02:52 PM
Updated : 20 May 2023, 02:52 PM

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার দুপুরে প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রক্টর কামাল হোসেন জানান। 

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। 

এদিকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, ভর্তি পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লার অনুসারী সাব্বিরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পরীক্ষা শেষে দুপুর ২টার দিকে দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। 

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” 

এ দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা বললেও দুই পক্ষের নেতারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। 

সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। 

সংঘর্ষের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বলেন, “ঘটনাটি শোনার পর আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আশা করি এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।” 

প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, “ছাত্রদের দুপক্ষের সঙ্গে আমরা বসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবেন। 

“ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে নিয়ে বৈঠক করেছি। তাদেরকে কড়া সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জিয়াউর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুপক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।