প্রায় তিন ঘণ্টা পর ব্যবসায়ী নেতারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অনশন তুলে নেন৷
Published : 07 Oct 2024, 06:10 PM
বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক৷
তারা পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর কার্যালয়ের সামনে অনশন ধর্মঘটও করেন৷ প্রায় তিন ঘণ্টা অনশনের পর ব্যবসায়ী নেতারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অনশন তুলে নেন৷
সোমবার সকাল ১১টায় শহরের চাষাড়ায় শহীদ মিনারে জড়ো হন কয়েকশ শ্রমিক৷ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা৷ পরে বেলা ১২টার দিকে বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন৷
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য সংসদের ব্যানারে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই অনশনের পর ব্যবসায়ীরা নেতাদের আশ্বাসে শ্রমিকরা অনশন ভাঙেন বলে জানান শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক৷
বিক্ষোভে অংশ নেন ক্রোনী গ্রুপের দুটি কারখানা ক্রোনী অ্যাপারেলস ও অবন্তী কালার টেক্স, নেমকন ডিজাইন, আরএজেড অ্যাপারেল, এশিয়ান টেক্সটাইল ও জনি টেক্সটাইলের কয়েকশ শ্রমিক৷
বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা জানান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে কারখানাগুলোর বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ত্রিপক্ষীয় ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন৷ গত কয়েক মাসের বেতন তাদের বকেয়া৷ বেতন চাইলে মালিকপক্ষ সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের৷
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকরা বিগত কয়েক মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন। বিকেএমইএ, জেলা প্রশাসক, কলকারখানা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। প্রত্যেকেই একের পর এক বেতন পরিশোধের তারিখ দিচ্ছে কিন্তু পরিশোধের কোনো হদিস নেই।
তিনি বলেন, বিকেএমইএ ১৮ দফা দাবির যে চুক্তিনামা হয়েছে তারা বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শ্রমিকদের দাবির প্রতি এখন তারা কোনো লক্ষ্য দিচ্ছে না। এতে করে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
“আজকে বিকেএমইএ অফিস ঘেরাও করেছে; এখন যেকোনো সময় তারা রাস্তায় নেমে যাবে। এর জন্য বিকেএমইএ দায়ী থাকবে। কারণ, বিকেএমইএ মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না এবং শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে না।”
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লিখিত দাবি আমাদের কাছে আসেনি। মৌখিকভাবে যেটা জানানো হয়েছে সেটার জন্য আমরা কাজ করছি এবং ১০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে। এই ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজ করছে, আমরা সবাই মিলেই সমাধানের কাজ করছি।”