কুষ্টিয়ার ওই বৃদ্ধার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় বলে জানান পিপি।
Published : 05 Jun 2024, 07:21 PM
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় নিহতের ছেলে ও দেবরসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
দণ্ড পাওয়ারা হলেন- উপজেলার কাটদহচর গ্রামের ফজল বিশ্বাস ও নিহত মমতাজ বেগম ওরফে জাগা খাতুনের ছেলে মো. মুন্না বাবু (৩৫), একই এলাকার ইনছার বিশ্বাসের ছেলে ও নিহতের দেবর মো. আব্দুল কাদের (৫৫) এবং মুন্না বাবুর বন্ধু ইয়াছিন আলীর ছেলে মো. রাব্বি আলামিন (৩২)।
মামলার বরাতে পিপি অনুপ কুমার বলেন, “২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি বিকালে বিধবা মমতাজ বেগম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ঘটনার চার দিন পর মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
“ঘটনার প্রায় এক মাস পর ২৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মুন্না বাবু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার সঙ্গে চাচা আব্দুল কাদের ও বন্ধু রাব্বি আলামিনও জড়িত ছিলেন।”
পিপি বলেন, “পরে অন্য দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকারোক্তি দেন যে, স্বামীর অবর্তমানে মমতাজ বেগমের কোটি টাকার সম্পত্তি ও পোড়াদহ বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান হাতিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখেন।”
পরে আটকদের দেখানো স্থান থেকে মমতাজ বেগমের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহতের ভাই তোরাব আলী বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ওই তিনজনের নামে হত্যা মামলা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মিরপুর থানার তৎকালীন এসআই মো. কায়েশ মিয়া তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান পিপি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী অনুপ কুমার।