“ বাজারে গেলে কাদা মাড়ায়া যাওন লাগে। আমরার কষ্টের আর শেষ নাই।“
Published : 05 Jul 2024, 01:58 PM
নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি।
বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে চলাচলে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গবাদিপশুর খাদ্য সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালি নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
তবে হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এছাড়া সোমেশ্বরী, কংশের পানিও কমতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কংশ নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে বইছে। আর সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে দুর্গাপুর পয়েন্টে।
বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের কৃষক আমির উদ্দিন বলেন, “দ্বিতীয় দফার বন্যা চলতাছে। গরু-বাছুর লইয়া খুব বিপদের মধ্যে আছি। নিজেরাই কি খাই তার ঠিক নাই, গরু-বাছুররে কি খাওয়াই?।
“মাঠে ঘাস নাই। আগের পানি আর অহনের পানি মিলাইয়া মাঠ ডুবাইয়া ঘাস মইর্যা গেছে। কিছু খড় আছিল। সেগুলা দিয়া কি আর গরুর খাওন মিটানো যায়?।”
তিনি বলেন, “কিছুটা পানি নামছে কিন্তু দুর্ভোগ তো কমে নাই। বাজারে গেলে কাদা মাড়ায়া যাওন লাগে। আমরার কষ্টের আর শেষ নাই।“
কলমাকান্দার বাউসাম গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, “পানিতে রাস্তা তলায়া গেছিল। পানি নামছে অহন।
“কিন্তু রাস্তা ভাইঙা চুরমার অইয়া গেছে গা। চলাচল করন যায়না। বাজার-ঘাটে যাওন যায়না। বড় বিপদের মধ্যে আছি।”