আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ‘আহত ৩০’, কর্মী সম্মেলন পণ্ড

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেবেন বলে দু’পক্ষই জানায়।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অনন্ত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কর্মী সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়।

বুধবার বিকালে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা জানান।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন নাসির উদ্দিন। কর্মী সম্মেলনে ওই প্রসঙ্গ টেনে বিরূপ মন্তব্য করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নাসিরের কর্মী-সমর্থকরা। পরে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, “ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কিছু খোঁচা মেরে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে ঘটনা আরও বড় রূপ নিলে সম্মেলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।”

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শামসুল ইসলাম।

জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “আমি কেবল আমার বক্তব্যে গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর হারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। এ নিয়ে নাসির উদ্দিনের লোকজন হামলা শুরু করে। এই সময় জান্নাত বেপারী, সোহেল, আরিফ, আরমান, শরীফ, আল আমিন, রাজিম, নাজমুল ও শামীমসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।”

নাসির উদ্দিন বলেন, “উনি (আবু বকর সিদ্দিক) উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ নিয়ে কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির সময় আবু বকরের লোকজন আমার কর্মীদের মারধর করে। এতে আনিছুর রহমান শামীম, নজরুল ইসলাম, বাবু মোল্লা, জাহাঙ্গীর, মিন্টু. সুজন, মোয়াজ্জেম, শহীদ ও বাবলুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।”

উভয় পক্ষের আহতরা মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ তিনশ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান নেতারা।

দু’পক্ষই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানান।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে সেখানে আরও পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়।”

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কারও লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ।