দুদিন তারা কুষ্টিয়া শহরের ওই হোটেলে ছিলেন।
Published : 14 Dec 2022, 05:08 PM
কুষ্টিয়ায় একটি আবাসিক হোটেলে বসবাসকালে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে; এ ঘটনায় তার সঙ্গী যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে তারা শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে উঠেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান যুবক। কিছু পরেই তিনি মারা যান বলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান জানান।
এ ঘটনায় আটক সৌরভ সরকার জয় (২৩) টাঙ্গাইলের নগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর তেজগাঁয়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
নিহত তরুণী (১৯) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাতুল আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রিপন সাংবাদিকদের বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা চতুর্থতলার ২৯ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় অসুস্থ ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যান সৌরভ।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইকবাল হাসান বলেন, “রাত পৌনে ৮টার দিকে তরুণীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং মুখে ফেনা উঠছিল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ অক্সিজেন দেওয়া হয়।
“রোগী অচেতন থাকায় কোনো কথা বলতে পারেননি এবং রোগীর সঙ্গে আসা ব্যক্তিও অসুস্থতার প্রকৃত কারণ বলেননি।”
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তরুণী। পরে আর তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পুলিশকেও জানায়নি। পরে মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
পরিবারের এক সদস্য আরও বলেন, তরুণী বাড়ি থেকে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে এসেছিলেন। তিনি একে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করছেন।
নিহতের সুরতহালকারী কর্মকর্তা এসআই অভীক বড়াল বলেন, “মরদেহের শরীরে বাহ্যিকভাবে দৃশ্যত কোনো ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। ভিসেরা প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় এ ধরনের মৃত্যু ঘটতে পারে।“
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু, সে কারণে আইনানুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করা হবে।”
এ ঘটনায় আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।