সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ‘ভগ্নিপতির’ দেওয়া আগুনে দগ্ধ এক ভ্যানচালক চারদিন পর মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
নিহত ৩০ বছর বয়সি আব্দুল কাদের উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় কাদেরের বোন সুফিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলার বরাতে ওসি মোস্তাফিজ জানান, রোববার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় কাদের পরিবারের তিন সদস্যের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন কাদেরের ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন (৩২)।
এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৫) ও মেয়ে ফাতেমা (৭) দগ্ধ হয়। স্ত্রী ও সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার আব্দুল কাদের মারা যান।
আগুন দেওয়ার আগে ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
কাদেরের বোন সুফিয়া বলেন, “সবুজ আমাকে নির্যাতন করত। এ জন্য আমি তার সংসার করতে চাই না। কিন্তু সবুজ আমাকে তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করত। এসব নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল।”
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন জানান, কাদেরের স্ত্রী ও মেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি এ ঘটনায় জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সবুজের সহযোগী কাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি সবুজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: