‘পারিবারিক বিরোধের জেরে পেট্রল ঢেলে আগুন’, শিশুসহ দগ্ধ ৩

কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে স্বামী সবুজ হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়াও পারিবারিক নানা কারণে শ্যালক কাদেরের উপর সবুজ ক্ষিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2023, 02:15 PM
Updated : 28 May 2023, 02:15 PM

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে গায়ে পেট্রল ঢেলে দেওয়া’ আগুনে শিশু সন্তানসহ এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছে। 

শনিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। 

দগ্ধরা হলেন আব্দুল কাদের গাজী (২৮), তার স্ত্রী শারমিন (২৫) এবং তাদের চার বছরের মেয়ে ফাতেমা খাতুন। 

ওসি বলেন, আব্দুল কাদের তাদের পরিবারের তিন সদস্যের উপর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ভগ্নিপতি সবুজ হোসেনের (৩২) বিরুদ্ধে। সবুজের বাড়ি যশোর জেলার নারায়ণপুরের পোড়াবাড়ী গ্রামে। 

এ ঘটনায় সবুজ হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (২৬)। মামলায় সহযোগী হিসেবে সোহাগ হোসেন নামেও একজনকে আসামি করা হয়েছে। সবুজ ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে স্বামী সবুজ হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়াও পারিবারিক নানা কারণে শ্যালক কাদেরের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সবুজ। শনিবার রাতে তিনি ওই ইউনিয়নের কাঁতপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে রাতেই আব্দুল কাদেরের বসতঘরে গিয়ে পেট্রল ঢেলে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান সবুজ।

এ কাজে সোহাগ তাকে সহায়তা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়, বলেন ওসি। 

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা কাদের, শারমিন ও ফাতেমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভান ও তাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে কাদের ও শারমিনের হাত, পা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত হয় শিশু ফাতেমাও। 

ওসি বলেন, উদ্ধারের পর প্রথমে তাদের কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 

কিন্তু সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দগ্ধ তিনজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।