“এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়; এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই ।”
Published : 20 Apr 2024, 07:08 PM
এবার নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক ’ফ্লেভার’ নেই; ফলে যে কেউ স্বাধীনভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়; এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই ।”
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, “অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আন অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তি পূর্ণভাবে হতে হবে, কোনো প্রার্থীর প্রচার বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিয়েছি।”
আলমগীর বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ।
“এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে আরও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।”
ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট বক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না জানিয়ে তিনি বলেন, “এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। এটি হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে তবে দেওয়ার সময় টেরও পায় না।
“ইভিএম এর ক্ষেত্রে বলা হয় যে, এই যন্ত্রের মাধ্যমে কখনও ভোট দেইনি এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি, ভোটাররা ভোট দিতে আসলে দেখবে এটি অত্যন্ত সহজ এবং ভোট শেষে সবাই সন্তোস প্রকাশ করেছে।এই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট বক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না, এক জনের ভোট অন্য জন দিতে পারে না ।”
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “আপনারা দেখেছেন সিংড়া এলাকার এক প্রার্থীকে আমরা ডেকেছি, সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোয়াখালী এলাকায় এক সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি।”
এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ সরকারি আরও অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।