তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি ‘মাথা পেতে’ নেবেন, বলেন ইউপি সচিব।
Published : 01 Nov 2024, 01:20 AM
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল হকের বিরুদ্ধে সাড়ে চার শতাধিক ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সোমবার ওই ইউপির চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমানের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল অভিযোগ করে বলেন, তার অজান্তে অক্টোবর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন আইডির মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৫৯ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি ও বিতরণ করেন ইউপির সচিব মিনারুল হক।
যার প্রায় ৯৭ শতাংশ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের মানুষ। ওইসব সনদধারীদের শনাক্ত করতে পারেনি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও এলাকার জনগণ।
চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের ধারণা, এসব নিবন্ধন রোহিঙ্গা ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আরও বলেন, “গত ১৮ অগাস্ট চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন সচিব মিনারুল হক। যোগদানের পরের দিন থেকে অনুমিত ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।
“এ কারণে তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিসও করা হয়েছে। তিনি পরিষদে না আসায় স্থবির হয়ে পড়েছে পরিষদের সেবা কার্যক্রম। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।”
অভিযোগের বিষয়ে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল হক বলেন, “তদন্তে আমি যদি অপরাধি হই তাহলে আমাকে যে শাস্তি দিবে তা আমি মাথা পেতে নেব।”