কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Published : 17 Apr 2024, 06:35 PM
ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় ট্রাকের চাপায় চারটি বাহনের ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রুহুল আমীনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ১৪ জনের পরিবারকে মোট ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সেখানে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এবং বাহনগুলিসহ ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর এরই মধ্যে চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চালকের নাম আল আমিন হাওলাদার। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। আর সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সদরের বাসিন্দা।
ঝালকাঠিতে ১৪ মৃত্যু: দুই ইজিবাইকের যাত্রীরা যাচ্ছিলেন বৌভাতে
ঝালকাঠিতে চার বাহনকে ট্রাকের চাপা, ১৪ জনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে ১৪ মৃত্যু: ট্রাকের চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার বলেন, “আল আমিন নিয়মিত চালক ছিলেন না; তিনি বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।”
আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।
বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)।