তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
Published : 24 Jan 2024, 08:45 PM
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভের পর নেত্রকোণার ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে চাঁদাবাজি বন্ধ, মামলা ও দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে নেত্রকোণায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকেরা।
বুধবার নেত্রকোণা পুলিশের পরিদর্শক (ট্রাফিক) মৃদুল রঞ্জন দাস ও টিএসআই আকবর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান জানান।
তিনি বলেন, এর মধ্যে মৃদুলকে শেরপুরে ও আকবরকে নেত্রকোণার ফকিরের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নেত্রকোণায় সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুরো শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়; দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক ট্রাফিক পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে পৌনে ১টার দিকে সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, অটোরিকশা চালকরা রাস্তায় বের হলেই মামলা ও চাঁদার জন্য হয়রানি করে ট্রাফিক পুলিশ। চাঁদা না দিলে নানাভাবে নির্যাতন করতেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল ও টিএসআই আকবর।
এর আগে সোমবার নেত্রকোণা জেলা শহরের কুড়পার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের এসআই আকবর হোসেনের সঙ্গে অটোরিকশার চালকদের চাঁদা আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
এতে তিন অটোরিকশা শ্রমিক ও আকবর আহত হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: