মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
Published : 27 Apr 2023, 01:32 AM
চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দোকানে ক্রেতার সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে; পুলিশ দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিহত মামুনুর রহমানের ভাই স্বপন আলী বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সদর উপজেলার হুচুকপাড়া গ্রামের মিঠু হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ মানিক (১৯)।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদরের ভালাইপুর বাজারে ছুরিকাঘাতে খুন হন আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সজল (২৪) ও একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান (২৫)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়রাডাঙ্গা গ্রামের টিপু সুলতানের মা ছামেনা খাতুন ভালাইপুর বাজারের আশরাফুল হকের দোকানে কাপড় কিনতে যান। কাপড়ের দরদাম নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দোকানি ছামেনা খাতুনকে দোকান থেকে বের করে দেন।
ছামেনা খাতুন বিষয়টি ছেলে টিপু সুলতানকে জানালে তিনি বন্ধু সজল, মামুন ও পলাশকে নিয়ে ওই দোকানে যান। সেখানে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টাকালে দোকানির পক্ষে কয়েকজন তাদের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। এতে সজল ও মামুন জখম হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনুর রহমানও মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হাসানুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে জনিয়েছিলেন, দুজনের শরীরেই জখমের চিহ্ন ছিল। এদের মধ্যে সজল হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা যান। চিকিৎসাধীর অবস্থায় মামুনুর রহমানের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে রাতভর পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের আটক করার জন্য অভিযান চালায়। রাতেই দুজনকে আটকও করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যার পর আদালতের মাধ্যমে তাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যায় কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসার পাশের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন